নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী :
রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমানের বাসায় ঢুকে তার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক দুর্বৃত্ত। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর ডাবতলা এলাকার স্পার্ক ভিউ নামের একটি বহুতল ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুলছাত্র তাওসিফ রহমান সুমন (১৬) নবম শ্রেণির ছাত্র। আহত হয়েছেন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার এবং হামলাকারী যুবক। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। ভবনের দারোয়ান মেসের আলী জানান, বিকেল আড়াইটার দিকে লিমন নামের এক যুবক বিচারক আব্দুর রহমানের ভাই পরিচয়ে ভবনে প্রবেশ করেন। দারোয়ানের খাতায় নিজের নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে তিনি ফ্ল্যাটে যান। কিছুক্ষণ পর গৃহকর্মী এসে জানান, ফ্ল্যাটে বিচারকের ছেলে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। পরে বাসিন্দারা এগিয়ে গিয়ে তিনজনকেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠান।
আবদুর রহমানের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বসবাস করতেন।
ভবনটির দারোয়ান মেসের আলী আরো জানান, ওই যুবককে তিনি আগে কখনো দেখেননি। বিচারককে ভাই পরিচয় দেওয়ায় তিনি ঢুকতে দেন। তবে তার আগে নাম ও মুঠোফোন নম্বর লিখিয়ে নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই যুবক ফ্ল্যাটে যান। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী তাকে এসে জানান, ফ্ল্যাটে বিচারকের ছেলেে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাও চলে আসেন। তারা সবাই ফ্ল্যাটে ঢুকে তিনজনকেই আহত পান। এরপর তিনজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিহত সুমনের মরদেহ মর্গেরাখা হয়েছে। আর হামলকারী যুবক ও বিচারকের স্ত্রীকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যাওয়াা হয়েছে।
খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবুসুফিয়ান। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারী ব্যক্তির পকেটে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি চালক। তার সঙ্গে পূর্ববিরোধ থাকতে পারে। পুলিশ কমিশনার জানান, সিলেটের সুরমা থানায় এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জিডি করেছিলেন তাসমিন নাহার। কেন এই ঘটনা ঘটেছে তা তারা এখনো বিস্তারিত জানেন না।